করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ চিকিৎসার পরামর্শ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবার ফেনীতে আরও স্বল্প খরচে মেডিকেল রোবট উদ্ভাবন করেছেন শাহীন একাডেমি স্কুলের একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থী।
রোবটটি ফেনী শহরের শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুলে ৪১তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় প্রদর্শিত হয়েছে। রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে মেডিকেল রোবট ৭১। জেলা পর্যায়ে জুনিয়র গ্রুপে চ্যাম্পিয়ান হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে শাহীন একাডেমি দল।
সাধারণত মোবাইল ফোন দ্বারা রোবটটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়াও পিসি দ্বারাও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দেখা গেছে, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই রোবটকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হলে এদিক-ওদিক হাঁটছে। স্পিকারের মাধ্যমে কথাও বলছে। প্রদর্শনীর স্টলটিতে ভিড় দর্শনার্থীদের।
উদ্ভাবনে জড়িত শিক্ষার্থীদের দলনেতা জিহাদুল ইসলাম ও আবদুস সামি ভূঁইয়া। তাদের সঙ্গে রয়েছে সহপাঠি তানবির হাসান শান্ত, সাইমুন বিন আলম, আফিফ হাসান ও আবরার আহনাফ করিম।
আবদুস সামি ভূঁইয়া বলেন, “বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন দেশে রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ চিকিৎসায় রোবট ব্যবহার করছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না গিয়েও ওষুধ, খাবার ও অন্যান্য সেবা চালিয়ে যেতে রোবট খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এতে ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবা দানকারী কর্মীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।
রোবটটি এছাড়াও চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এগিয়ে দেওয়া, ওষুধ সার্ভিস দেওয়াসহ একজন এসিস্ট্যান্টের অবর্তমানে সব কাজই করতে পারবে। এটি ব্যবহার হলে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহীতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে।”
সামি আরও বলেন, “এটি ৫-১০ কেজি ওজন বহন করতে পারে ও টানা এক থেকে দেড় ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এতে বিশেষ ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও স্পিকার সংযুক্ত করা আছে। চিকিৎসক তার কক্ষে বা অন্য কোথাও বসে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রোবট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর সেন্সরের সামনে রোগীর মাথা রাখলে শরীরের তাপমাত্রা দেখা যাবে।”
সামির দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এক মাসের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে রোবটটি।
লেখক: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেণি, ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কুমিল্লা।