আজ শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৫ হিজরী
আজ শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৫ হিজরী

পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেম বন্ধ: বিটিআরসি

দেশের উচ্চ আদালতের আদেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো ‘বিপজ্জনক’ ইন্টারনেট গেমের লিংক বন্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে এ ধরনের অন্যান্য অ্যাপ বন্ধেও কাজ চলছে।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিকর’ অন্যান্য অ্যাপও বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এর আগে ১৬ আগস্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ সব ক্ষতিকর গেমস অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

সেদিন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

তারও আগে ২৪ জুন সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ রিট দায়ের করেছিলেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের আইজিকে বিবাদী করা হয়েছিল।

এরও আগে ১৯ জুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, এবং ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলোতে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেমস ক্রমশ যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।