আজ শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৫ হিজরী
আজ শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৫ হিজরী

নক্ষত্র তৈরির কারিগর

প্রিয় ক্যাম্পাসে অতিবাহিত করা দিনগুলো সত্যি খুব রঙিন হয়। আমার গর্ব, আমার অহংকার বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।বিদ্যালয়ের প্রতিটি অংশে যেন লুকিয়ে আছে সোনালি স্মৃতি।

স্কুল জীবনের শেষ দিনটিতে চোখের জলে যেন ভেসে ওঠে সোনালি স্মৃতি। একজন শিক্ষার্থীর নিজের জীবনকে গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার প্রায় সবটুকুই এখানে রয়েছে। যেমন- মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য রয়েছে মেডিকেল রুম, উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য রয়েছে নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার, নামাজের জন্য মসজিদ, আধুনিক লাইব্রেরি, ল্যাব, মা-বাবার সমতুল্য প্রিয় শিক্ষকরা, যাদের হাতে গড়ে ওঠছে নক্ষত্রগুলো।

এদিকে বোর্ড রেজাল্টে রাজশাহী বোর্ডে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।বাংলাদেশ আর্মি পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। আর্মিদের মতো সততা, নিষ্ঠা, কর্তব্য বোধ, নিয়মানুবর্তিতা যেন এখানকার শিক্ষার্থীদের রক্তে প্রবাহিত হয়।

জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে জাতীয় অলিম্পিয়াড, গান -নাচ, চিত্রাঙ্গনসহ প্রায় সর্ব অঙ্গনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। বর্তমান এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ আর্মিসহ অন্যান্য বাহিনীতে ও দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনির্ভাসিটি, পাবলিক ইউনির্ভাসিটিতে শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে চাকরিও করছেন। আবার কেউ কেউ দেশের সীমানা অতিক্রম করে পৌঁছে গেছে গুগল, মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

একদিন আমিও এ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাবো। কিন্তু বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে আমি যা পেয়েছি, তার জন্য আমি চিরকাল ঋণী থাকবো। আমি চলে গেলেও এই ভালোবাসার বন্ধন চিরকাল অটুট থাকবে।

 

আজ প্রায় ৬-৭ মাস করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ। কতদিন সেই মমতাময়ী মা-বাবাতুল্য শিক্ষকদের দেখি না। কতদিন সেই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না। একসঙ্গে খেলাধুলা, টিফিন খাওয়া, মজা করা আজ শুধুই স্মৃতি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আবারও ফিরে যেতে পারবো সেই নক্ষত্র তৈরির কারিগরে।

লেখক: শিক্ষার্থী, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।