আজ মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৫ হিজরী
আজ মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৫ হিজরী

ঈদের দ্বিতীয় দিনও রাজধানীতে চলছে পশু কোরবানি

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঈদের দিনে পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, বাসাবো, যাত্রাবাড়ি, মানিকনগরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।

ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দেওয়ার বিষয়ে নগরবাসীরা জানান, পেশাদার কসাইয়ের সংকট এবং ঈদের দিন একটু ঝামেলা এড়াতেই তারা আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন।

এছাড়া বেশিরভাগ মুসল্লি গতকাল কোরবানি দিলেও বিভিন্ন কারণে অনেকে কোরবানি দিতে পারেননি। কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু কিনে রাখা এসব মুসল্লিরা আজ কোরবানি দিচ্ছেন।

আজ কোরবানি দেওয়ার কারণ হিসেবে বাসাবোর এক বাসিন্দা জানান, ঈদের দিন কোরবানি দিলে ঝামেলা বেশি হয়। মাংস কাটার জন্য পেশাদার কসাই খুঁজে পাওয়া যায় না। আর পেলেও অনেক দাম গুণতে হয়। এ কারণে আজ কোরবানি দেয়া হচ্ছে।

খিলগাঁওয়ে একটি স্থানে পাশাপাশি তিনটি গরু কোরবানি দিতে দেখা যায়। সেখান থেকে রাসিব মোস্তফা নামের একজন বলেন, আজ কোরবানি দিতে কোনো বাধা নেই। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজ এবং আগামীকালও কোরবানি দেয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, গতকাল কসাই খুঁজে পাইনি। তাছাড়া এদের দিন কোরবানি দিলে নানা ঝামেলা হয়। সবকিছু মিলে আজ কোরবানি দিচ্ছি। কোনো ঝামেলা নেই, কসাই পেতে কোনো সমস্যা নেই।

রামপুরায় রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, কোরবানি দেয়া হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কোরবানির নিয়ত করে আগেই গরু কিনে এনেছি। এখন আল্লাহর নামে কোরবানি দিলাম। কবুল করার মালিক আল্লাহ।

মালিবাগে আদনান শুভ্র নামের এক মুসুল্লি জানান, ঈদের দিন একটি গরু কোরবানি দিয়েছিলাম। আজ আরেকটি দিচ্ছি। এর ফলে কাজের চাপ কম থাকে।