আজ শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৬ হিজরী
আজ শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ জমাদিউল আউ:, ১৪৪৬ হিজরী

অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পাবেন ফ্রি কোভিড ভ্যাকসিন

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ফ্রি কোভিড ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের আওতায় সে দেশে অবস্থানরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন করোনার টিকা। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর অবস্থানরত প্রায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে।

ফেডারেল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে আসা যায়, সেই অনুযায়ী আমরা কৌশল প্রণয়ন করছি। আমরা জানাতে চাই, এ দেশে অবস্থানরত সবাই নিরাপদ এবং সবার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে আমরা বদ্ধপরিকর।’

সরকারের পরিকল্পনায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিবাসী, আশ্রয়প্রার্থী, অস্থায়ী ভিসাধারী এবং ভিসা বাতিল করা আটককৃত বন্ধীরাও রয়েছেন। তবে ট্রানজিট, ট্যুরিস্ট, ই-ভিজিটর এবং ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথোরিটি ভিসাধারীরা এই ফ্রি ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের আওতার বাইরে থাকবেন। যদি তারা টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে তাদের গুণতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ।

দেশটি ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন নিজেদের জন্য নিশ্চিত করেছে। ফাইজার-বায়োটেকের টিকাপ্রদানের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে তাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম। তাছাড়া দেশটি অ্যাস্ট্রোজেনেকা, নোভাভ্যাক্স, কোভ্যাক্সের সাথেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে টিকা সংগ্রহের জন্য।

টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রন্টলাইনার্স যেমন সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনী, ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং সরকারের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাধান্য পাবেন। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক এবং তাদের সেবায় নিয়োজিত কর্মীদেরও রাখা হয়েছে এই আওতায়। পাশাপাশি ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাধান্য পাবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন ভাষাভাষীর নাগরিক এবং সব উপজাতীয় গোত্রের মধ্যে ক্যাম্পেইন করার চিন্তা করছি। ভ্যাকসিন গ্রহণ সবার জন্য অতিব জরুরি এবং সেজন্য এই বিষয়ক তথ্যগুলো সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে ভাষ্যকারসহ ৬২টি ভাষায় বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে, যাতে তথ্য সম্পর্কে সবাই অবগত হতে পারেন। এসব কার্যক্রম সফল করতে ইতোমধ্যে ১.৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি অস্ট্রেলিয়াতে টিকাদান কার্যক্রম শেষ হবে। এদিকে ডিসেম্বরের মধ্যে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফাইজার-বায়োটেকের টিকা দানের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্য, তথ্যটি নিশ্চিত করেছে দ্য পাই নিউজ।