গত ৮ বছর ধরে দেশ থেকে মানবপাচার করা একটি চক্র সম্প্রতি ধরা পড়েছে। এ চক্রের সদস্যরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।জানা গেছে, ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে নেয়ার পর নৌকায় করে শ্রীলঙ্কার গভীর জঙ্গলে নিয়ে চাকরি-প্রত্যাশীদের আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিত চক্র।মানবপাচার আমাদের বড় সমস্যাগুলোর একটি। অথচ প্রশাসনের এ ব্যাপারে যতটা নজর দেয়া দরকার, ততটা দেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদেশে প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ব্যাপারে জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি আদম ব্যাপারী নামের প্রতারকদের প্রতারণাও অনেক বিয়োগান্ত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়া, চাকরি না দিয়ে প্রতারণা করা, জীবন কেড়ে নেয়ার মতো ঘটনাও অনেক ঘটেছে।জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে দুর্নীতি তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেলেও থেমে নেই মানবপাচার। বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারের এ ভয়ঙ্কর প্রবণতা বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রকে আরও কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। মানবপাচারকারী চক্রটি ভাঙতে হবে। দেশের ভেতরেই কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে; যাতে পাচারকারী চক্র মানুষকে প্রলুব্ধ করার সুযোগ না পায়। সবচেয়ে জরুরি যে কাজ সেটি হলো- পাচারকারীদের এবং যারা মানবপাচারে সহায়তা করবে তাদেরও আইনের আওতায় এনে দ্রুতবিচার নিশ্চিত করতে হবে।